Fun (‘Majak’)

‘Fun’ – a three lettered small word which works as a Tonic to make men feel good, besides often reacts terribly. Such an activity like Fun consists of multiple objects. Men depend on such objects as the elements of their fun. In simple words, it may be said that, men need something for making fun. That may be any goods, any place, any food, any game etc. Sometimes one person selects another person(s) as the object of his/her fun. In that case, the matter may better be named as ‘Majak’. And this part of men’s fun is the subject matter of this blog.

Giving correct explanation of the word Fun or ‘Majak’ is not at all possible. Because an event seems fun to one person may become the matter of offense to other. And the tendencies of making fun amongst different persons often end relations. So many a things should be remembered before making fun of others. Although it is difficult to extract proper meaning of the word Fun or ‘Majak’, still we all know that in each and every fun event there are two parties—A person or a group of persons who makes fun, and the other on or with whom fun is made. If any statement of one party becomes the matter of grieves to other, then that should not be defined as Fun or ‘Majak’, rather insult. And in most of the cases we witness the events of insult in the name of fun. So the matter of real Fun or ‘Majak’ should be in such a way that both the parties can laugh. One’s laughter with the tears of other is not the part of a fun.

As stated earlier the event of one’s fun may be the matter of offense to other. So the following should be remembered before making fun of others—

(a) If someone is concerned about his/her outlooks, then making joky comments with those (e.g. fat, skinny, dark, short, ugly etc.) is not at all part of fun, that is simply insult. But if he/she is not a little concerned about those, then the comments would make him/her laugh too. Such an event would certainly be considered as Fun or ‘Majak’ (Although it is true that making negative comments on someone’s outlooks irrespective of his/her concern is nothing but a practice of incivility. And considering this as a matter of fun is simply an idiotic act).

(b) Some people enjoy being unemployed, poor, idle, vagabond. If such a nature of somebody is trolled by others, then that would certainly be a part of fun, but if the nature becomes the matter of concern to him/her, then that is insult.

(c) Some people dream to be established in life as an eminent person and also deserve being so, e.g. as an artist, an industrialist, a writer, a player, a noble man even as a big minister of the country etc. But to some people, being such a person remains far away, they don’t even think of that. So the matter becomes funny to them. Now, if the Type-II persons make sarcastic comments on the ambitions of Type-I persons, then how such an event can be a part of fun! That is nothing but insult.

(d) If a person is confident about any of his/her internal talents, then he/she will lighten the negative comments thrown by others simply ignoring those and will also take part of their giggles. But if he/she has a habit of being fastidious about his/her talent (even if that is perfect), then the comments would become insults, not funs or jokes.

Therefore, we found that in most of the cases men do insult others in the name of fun. And the saddest event is, instead of restraining themselves from insulting other, they keep on doing such an act even after realising that the person feels insulted.  To understand an event whether it is Fun/‘Majak’ or Insult, it is important to observe other’s reaction. “Favourable reaction=Fun/‘Majak’, Adverse reaction=Insult”– We all should know this fact. Then only good relations can be built and maintained. And our purpose should be to build relations, not to end or break. So Fun or ‘Majak’ is desirable, not insult.

My appeal: Initially it is not possible to judge an event whether that is joke or insult. So you might keep on throwing comments on other related to any event seems joke to you. If you see that the person opposite to you enjoys your comments as he/she too considers the event as joke, then you may continue commenting. But if your comments hurt him/her, then you should understand that the event does not seem as joke to him/her, rather insult. In that case you should stop commenting. Your initial comments thrown on the person unintentionally may not be treated as sins, but after getting the adverse reactions, your act of continuous insulting only to irritate him/her is certainly guilt. And most of the people don’t understand this or even after understanding, still continue behaving in the same manner for the sake of fun and as the impacts of their uncivilized nature. If you too are like them, then stop doing so from now onwards. And do select such an object which may render fun to others without hurting them. Because you are not entitled degrading others. Your act of consuming the whole tonic named ‘Fun’ from a phial and making others drink the ‘poison’ from the same phial labelled as ‘Fun’ will make you a sinner. So enjoy fun events with others, not by poking them.

II Thank you II

___________________________________________________ ___________________________________________________

মজা (ঠাট্টা)

‘মজা’ — দু’অক্ষরের ছোট্ট একটা শব্দ যা মানুষকে ভালো রাখার টনিক হিসেবে কাজ করে, আবার কখনো কখনো ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। এই মজা নামক ক্রিয়ার একাধিক লক্ষ্যবস্তু থাকে। মানুষ তার মজার উপকরণ হিসেবে ঐ সমস্ত লক্ষ্যবস্তুকে ভর করে থাকে। অর্থাৎ সোজা ভাষায় যেটা বলা যায়, তা হল, মানুষের মজা করার জন্য বিশেষ কিছুর প্রয়োজন হয়। হতে পারে সেটা কোনো জিনিস, কোনো স্থান, কোনো খাবার, কোনো খেলা বা আরো অনেক কিছু। কখনো কখনো একজন ব্যক্তি অন্য একজন ব্যক্তিকে তার মজার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নেয়। সেক্ষেত্রে বিষয়টাকে ‘ঠাট্টা’ বললে ভালো হয়। আর মানুষের মজার এই অংশটাই এই ব্লগের আলোচ্য বিষয়।

মজা বা ঠাট্টার সঠিক ব্যাখ্যা কারোর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ একজনের মজা অন্যের কাছে অপমানের বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর এই মানুষে মানুষে মজা করার প্রবৃত্তি অনেক সময় সম্পর্কের ভাঙ্গন ঘটায়। তাই কাউকে নিয়ে মজা করার আগে অনেক জিনিস মাথায় রাখা দরকার। মজা বা ঠাট্টার সঠিক মানে বার করতে না পারলেও আমরা সবাই এটা জানি যে, যে কোনো ধরণের মজার ক্ষেত্রে দুটো পক্ষ থাকে– একজন বা একদল ব্যক্তি যে বা যারা মজা করে এবং অন্য একজন যার ওপর বা যাকে নিয়ে মজা করা হয়। একপক্ষের বিবৃতি যদি অপরপক্ষের কাছে দুঃখের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে সেটা মজা বা ঠাট্টা নয়, অপমান। আর বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা মজা নামক বিষয়ের দোহাই দিয়ে অপমানের ঘটনা দেখে থাকি। তাই আসল মজা বা ঠাট্টার বিষয় এমন হওয়া উচিত যাতে উভয় পক্ষই হাসতে পারে। অন্যকে কাঁদিয়ে একজনের হাসি কখনোই মজার  অংশ নয়।

আগেই বলেছি যে একজনের মজা অন্যের কাছে অপমানকর হতে পারে। তাই কাউকে নিয়ে মজা করার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মাথায় রাখা দরকার। যেমন–

(ক) কেউ যদি তার রূপ ও সৌন্দর্য্য নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে, তাহলে ওইগুলো নিয়ে ঠাট্টাকর মন্তব্য করা (যেমন মোটা, রোগা, কালো, বেঁটে, কুৎসিত ইত্যাদি) মোটেই মজার অঙ্গ নয়, ওগুলো শুধু অপমান মাত্র। আর সে যদি উদ্বিগ্ন না থাকে, তাহলে মন্তব্য শুনে সে নিজেও হাসবে। সেক্ষেত্রে সেটা হবে মজা বা ঠাট্টা (যদিও কেউ উদ্বিগ্ন থাকুক বা না থাকুক, তার রূপ ও সৌন্দর্য্য নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করাটা চরম অভদ্রতা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর এটাকে মজা হিসেবে বিবেচনা করা হল মূর্খতার পরিচয় মাত্র)।

(খ)  অনেকের কাছে কর্মহীন বেকার, দরিদ্র, অলস, ভবঘুরে হয়ে থাকাটা সুখের হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে তাদেরকে নিয়ে রসিকতা করলে সেটা নিঃসন্দেহে মজা বা ঠাট্টা, আর ওগুলো তাদের উদ্বেগের কারণ হলে বিষয়টা হবে অপমানের।

(গ) কেউ কেউ বড় একজন ব্যক্তি হিসেবে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে এবং হওয়ার ক্ষমতাও রাখে, যেমন একজন শিল্পী, শিল্পপতি, লেখক, খেলোয়ার হিসেবে, একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি এমনকি দেশের একজন বড় মন্ত্রী হিসেবে ইত্যাদি। আবার অনেকেই এসব হতে চাওয়া তো দূরের কথা, এগুলো নিয়ে কোনোদিন ভাবেও না। তাই তাদের কছে এগুলো মজার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এখন উক্ত দ্বিতীয় পক্ষের ব্যক্তিরা যদি প্রথম পক্ষদের জীবনের স্বপ্নকে নিয়ে টিটকিরি করে, তাহলে সেটা কিভাবে মজা বা ঠাট্টা হতে পারে! ওটা অপমান ছাড়া আর কিছুই নয়।

(ঘ) কোনো ব্যক্তি যদি তার কোনো প্রতিভা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী থাকে, তাহলে অন্যের কু-মন্তব্য শোনার পরেও সে ওগুলোকে হেসে উড়িয়ে দেবে আর বিষয়টাকে মজার ছলে নেবে। আর যদি সে তার নিজের প্রতিভা (সেটা নিখুঁত হলেও) নিয়ে একটু হলেও খুঁতখুঁতানি স্বভাবের হয়ে থাকে, তাহলে মন্তব্য গুলো মজার নয়, বরং তার কাছে অপমানের হয়ে দাঁড়াবে।

সুতরাং আমরা দেখলাম যে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ মজার নাম করে অন্যকে অপমানই করে ফেলে। আর দুঃখের ঘটনা হল, অন্যজন অপমানিত হচ্ছে জেনেও নিজে সংযত না হয়ে মজা বা ঠাট্টার নাম করে অবিরাম তাকে অপমান করে যায়। মজা বা ঠাট্টা, নাকি অপমান – এটা বোঝার জন্য অনের প্রতিক্রিয়াকে পর্যবেক্ষণ করতে হয়। “অনকূল প্রতিক্রিয়া = মজা বা ঠাট্টা, আর প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া = অপমান” – এই বিষয়টা আমাদের সকলের মাথায় রাখা উচিত। তাহলেই মানুষে মানুষে সুসম্পর্ক তৈরি হবে ও তা টিকে থাকবে। আর আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সম্পর্ক তৈরি করা, ভাঙ্গা বা শেষ করা নয়। তাই মজা বা ঠাট্টা কাম্য, অপমান নয়।

আমার আবেদনঃ কার কাছে কোন বিষয় মজার, আর কোন বিষয় অপমানের তা প্রথম ক্ষেত্রে বোঝা কখনোই সম্ভব নয়। তাই হয়তো তোমার কাছে মজা হিসেবে পরিচিত বিষয়গুলো তুমি তোমার মন্তব্যের দ্বারা অন্যের ওপর অজান্তেই নিক্ষেপ করে থাকো। যদি দেখো যে বিষয়গুলো তার কাছেও মজার, তাহলে তুমি সেটা চালিয়ে যেতে পারো। কিন্তু যদি দেখো যে তোমার মন্তব্যে সে আঘাত পাচ্ছে বা অপমানিত হচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে যে তোমার মজার বিষয় তার কাছে মজার তো নয়ই, বরং অপমানের। সেক্ষেত্রে তোমার উচিত হবে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা। প্রথম ক্ষেত্রে অজান্তে তোমার মন্তব্য করাটা মোটেই অপরাধের নয়, কিন্তু সবকিছু জানার পরেও তাকে উত্যক্ত করার জন্য মজার ছলে তোমার অবিরাম মন্তব্য করে যাওয়াটা নিঃসন্দেহে অপরাধ। আর এই বিষয়টাই বেশীরভাগ মানুষ বোঝে না বা বুঝলেও নিজের অভদ্র স্বভাবের জন্য মজার দোহাই দিয়ে অন্যকে অবিরাম অপমান করে চলে। তুমিও যদি এরকম করে থাকো, তাহলে আজই তা বন্ধ করো। আর লক্ষ্যবস্তু হিসেবে এমন এমন বিষয়কে বেছে নাও, যাতে অন্যদেরকে আঘাত করা ছাড়াই মজা তৈরি হয় এবং সেই মজার ভাগ তারাও পায়। কারণ অন্যকে অপমান করার অধিকার কেউ তোমাকে দেয়নি।  ‘মজা’ নামক টনিক নিজে একা পান করে ‘মজা’র লেবেল লাগানো শিশিতে ‘বিষ’ ভরে অন্যকে পান করাতে চাইলে তুমি হয়ে উঠবে একজন ‘পাপী’। তাই কাউকে খোঁচা মেরে নয়, তাকে সঙ্গী করেই মজা করো।

।। ধন্যবাদ ।।