Silent Brainwashing

Have you ever been ‘brainwashed’? I mean, have you ever been swayed by someone’s words and had to do something without verifying its necessity?

Of course you have been! Holding your Credit Cards and Insurance Policies, choosing different Investment Schemes and even buying some wrong colour and style of clothes knowing that they don’t match your looks and personality instantly prove that you are somehow ‘brainwashed’. Although it is not always true that the brainwashers do the work of brainwashing you against your will, because in most cases you call them to do the work on your urgent need and they enter your brain through that path only for the purpose of brainwashing. Let me make it clear. While holding Credit Cards and Insurance Policies or taking up an Investment Plan, you have to choose the best one from countless options only through brainwashing. Because the representatives sing the praises of the best option in front of you and ingrain it in your brain, which is ‘Washing’. In this context, you can say that you are very knowledgeable in choosing the best option. Well, there’s no denying it, but it seems that sometimes your judgment is controlled by the words of others, meaning that even if you don’t like or have a negative view of something, it instantly turns into a positive one. So, you are brainwashed sometimes, and even if you deny it, it is true. Sometimes you get lured by the shopkeeper’s fake compliments and suggestions and end up buying the wrong clothes. Think about it, it is not the result of brainwashing! However, these types of brainwashing are available but not harmful in any way.

Now let’s talk about “Silent Brainwashing”. What is that again? Is it really possible to brainwash someone silently? Yes, possible. But how? Let’s say………… by presenting in front of you the stories of other people’s happiness and comfort, by intensifying your sorrows, you are constantly put in an uncomfortable situation, which you feel but cannot understand the reason for. On the contrary, the unsuccessful attempt to acquire the elements of other’s illusory happiness presented to you puts you in danger again and again. It means that you are silently brainwashed in such a way that you do your own harm. In this case, the other’s things that are repeatedly presented to you are: other’s money-abundance, things-property, good job, used expensive goods-things like house, car, furniture, clothes etc., other’s happy married life-story and even perfect husband/wife, progeny, consumables unnecessary to you but indispensable to others, travel stories of others, one or more sources of income, skill or excellence in other’s work, talent, popularity, familiarity, name-fame, power – more of that sort. Repeating these things or their stories before you to make you realize their absence is meant to make you feel a sort of discomfort by judging you with inferiority complex and fueling the strategy to acquire them and finally to enjoy quietly if you fail to achieve them. In this case, like Credit Card and Insurance Agents, they are agents who secretly brainwash you. As a result, a sense of uneasiness and inferiority works in you, because of which you violate your ability, capacity, and power to achieve them, and if you fail, you become exhausted and miserable. This is “Silent Brainwashing”. Sometimes it can even end your life. Therefore, in the treatment of silent brainwashing, one’s own needs, judgments, considerations, capabilities, requirements- these need to be used as the ‘medicines’.

My appeal: Life is yours. So the responsibility of making any small or big decision in your life is entirely on you. Sometimes if you can’t make a decision yourself, you can certainly take the advice of others, but take the final decision only after considering that advice with your judgment. And think ten times before doing anything just brainwashed – be it active or silent.

______________________________________________________________________________________________________

নীরব মগজধোলাই

তোমার মগজ কি কখনো ধৌত হয়েছে? আমি বলতে চাইছি তোমাকে কি কখনো কারোর কথায় প্রভাবিত হয়ে কোনো কাজের অপরিহার্যতা যাচাই না করেই সেই কাজ করতে হয়েছে?

অবশ্যই হয়েছে! তোমার ক্রেডিট কার্ড এবং বীমাপত্রের ধারণ, বিভিন্ন বিনিয়োগ পরিকল্পনার নির্বাচন এমনকি তোমার চেহারা এবং ব্যক্তিত্ত্বের সাথে বেমানান জেনেও কিছু ভুল রং এবং শৈলীর পোশাক-এর ক্রয় নিমেষেই প্রমাণ করে দেয় যে, কোনো না কোনোভাবে তুমি ‘মগজধোলাই’ এর শিকার। যদিও এটা সবসময় সত্যি নয় যে ধোলাইকারীরা তোমার অনিচ্ছাতেই তোমার মগজধোলাই-এর কাজ করে থাকে, কারণ বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তোমার প্রয়োজনের তাগিদে তুমি তাদেরকে আহ্বান জানিয়ে ঐ কাজ করার পথ দেখাও আর তারা ঐ পথ দিয়ে তোমার মগজে প্রবেশ করে শুধুমাত্র ধোলাই করার উদ্দেশ্য নিয়ে। বিষয়টা পরিষ্কার করে বলি। ক্রেডিট কার্ড এবং বীমাপত্র ধারণের সময় বা কোনো বিনিয়োগ পরিকল্পনা গ্রহণের সময় তোমাকে অগণিত বিকল্পের মধ্যে থেকে সর্বোত্তমটাকেই বাছাই করতে হয় শুধুমাত্র মগজধোলাই এর বশবর্তী হয়ে। কারণ প্রতিনিধিরা তাদের দৃষ্টিভঙ্গীতে শ্রেষ্ঠ বিকল্পটার গুণগান তোমার সামনে করে সেটাকে তোমার মগজে গেঁথে দেয়, যেটা কিনা ‘ধোলাই’।  এ প্রসঙ্গে তুমি বলতেই পারো যে, সর্বোত্তম বিকল্প বাছাই এর ক্ষেত্রে তুমি খুবই ওয়াকিবহাল। বেশ, বিষয়টাকে অস্বীকার করার কোনো জায়গাই নেই, তবুও মনে হয় যে অনেকসময় তোমার বিচার-বুদ্ধির ক্ষমতাও অন্যের কথার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, মানে কোনো জিনিসের প্রতি তোমার তেমন আকর্ষণ না থাকলেও বা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী থাকলেও সেটা নিমেষের মধ্যেই ইতিবাচক হয়ে যায় সেটার সম্বন্ধে অন্যের বিবৃতিতে কর্ণপাত করার জন্য। সুতরাং, তোমার মগজ কখনো কখনো ধৌত হয়েই থাকে, এবং তুমি অস্বীকার করলেও এটাই সত্যি। মাঝে মাঝে তুমি দোকানীর ভুয়ো প্রশংসা এবং পরামর্শে প্রলোভিত হয়ে ভুল পোশাক ক্রয় করে ফেলো। ভেবে দেখো, এটা কি মগজধোলাই এর ফলাফল নয়! যাই হোক, এই ধরণের মগজধোলাই গুলো উপলব্ধ কিন্তু কোনোভাবেই হানিকর নয়।

এখন “নীরব মগজধোলাই” – এর বিষয়টাতে আসা যাক। সেটা আবার কি? সত্যিই কি কারোর মগজ নীরবে ধোলাই করা সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব। কিন্তু কিভাবে? বলি………… তোমার সামনে অন্যের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের গল্পগুলো পেশ করার মাধ্যমে তোমার মধ্যেকার দুঃখগুলোকে আরো উজ্জীবিত করে তোমাকে অনবরত একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলা হয়, যা তুমি টের পেলেও তার কারণ উপলব্ধি করতে পারোনা। উল্টে, তোমার সামনে বিবৃত অন্যের অলীক সুখের উপাদানগুলো আয়ত্ত্ব করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা তোমাকে বারবার বিপদের মধ্যে ফেলে। মানে তোমার মগজটাকে নীরবে এমনভাবে ধোলাই করা হয় যার ফলে তোমার নিজের ক্ষতি তুমি নিজেই করে ফেলো। এক্ষেত্রে অন্যের যেসব বিষয়গুলো তোমার সামনে বারবার তুলে ধরা হয়, সেগুলো হলঃ অন্যের অর্থ-প্রাচুর্য, বিষয়-সম্পত্তি, ভালো চাকরি, ব্যবহৃত দামী দামী দ্রব্য-সামগ্রী যেমন, বাড়ি, গাড়ি, আসবাবপত্র, পোশাক ইত্যাদি, অন্যের সুখী দাম্পত্য জীবন-কাহিনী এমনকি রূপ-গুণ সম্পন্ন/সম্পন্না স্বামী/স্ত্রী, বংশ বিস্তার, তোমার জন্য অপ্রয়োজনীয় কিন্তু অন্যের কাছে অত্যাবশকীয় ভোগ্যপণ্য, অন্যের ভ্রমণ-কাহিনী, এক বা একাধিক আয়ের উৎস, অন্যের কোনো কাজে দক্ষতা বা পারদর্শিতা, প্রতিভা, জনপ্রিয়তা, পরিচিতি, নাম-যশ-খ্যাতি, ক্ষমতা – এই ধরণের আরো অনেক কিছু। এই বিষয়গুলো বা এগুলোর গল্প তোমার সামনে বারবার বর্ণনা করে তোমাকে এগুলোর অনুপস্থিতি উপলব্ধি করানোর উদ্দেশ্য হল তোমাকে নীচ মানসিকতা দিয়ে বিচার করার মাধ্যমে এক ধরণের অস্বস্ত্বিতে ফেলা আর এগুলোর অধিকারী হওয়ার জন্য কৌশলে ইন্ধন যোগানো এবং সবশেষে তুমি অর্জন করতে ব্যর্থ হলে নিঃশব্দে আনন্দ পাওয়া। এক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড এবং বীমা প্রতিনিধির মত এরাও একধরণের প্রতিনিধি যারা গোপণে তোমার মগজ ধোলাই করে যায়। ফলস্বরূপ তোমার মধ্যে একটা অস্বস্তিবোধ এবং হীনমন্যতা কাজ করে যার জন্য তুমি তোমার সামর্থ্য, যোগ্যতা ও ক্ষমতাকে লঙ্ঘণ করে এগুলো আয়ত্ত্ব করার পেছনে ছোটো আর ব্যর্থ হলে সর্বশ্রান্ত হয়ে দুঃখ পাও। এটাই হল “নীরব মগজধোলাই”। অনেক সময় এটা তোমার জীবন পর্যন্ত শেষ করে দিতে পারে। তাই নীরব মগজধোলাই এর চিকিৎসায় নিজের চাহিদা, বিচার, বিবেচনা, সামর্থ্য, প্রয়োজনীয়তা – এগুলোকে দাবাই হিসেবে ব্যবহার করা দরকার।

আমার আবেদন:  জীবন তোমার। তাই তোমার জীবনের ছোট-বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব সম্পূর্ণ তোমার ওপর। কখনো কখনো নিজে সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে অন্যের পরামর্শ অবশ্যই নিতে পারো, কিন্তু সেই পরামর্শটাকেও তোমার বিচার-বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নাও। আর শুধুমাত্র মগজ ধোলাই কবলিত হয়ে কোনো কাজ করার আগে দশ বার ভাবো –  হোক সে মগজধোলাই সরব বা নীরব।