কোনো একটি নির্দিষ্ট কাজের “অ আ ক খ” করতে না পারা ব্যক্তিরাই অন্য কেউ সেই কাজের অধিকাংশ টা পারলে তার সমালোচনা করে ও তার উপর চোটপাট করে। এরা হল ঠুঁটো সমালোচক।
উদাহরণঃ ধরো তুমি তোমার ওইরকম কোনো এক বন্ধু বা প্রিয়জন কে নিয়ে কোথাও গেছো। সেখানে হয়ত কারোর থেকে কিছু জানা প্রয়োজন। এখন যেহেতু তোমার বন্ধু বা প্রিয়জন ওই কাজে অপারক, তাই জানার কাজটিতে তোমাকেই এগোতে হল এবং যথারীতি জানাও হল। সবশেষে তোমার জানার ধরণ অনুযায়ী কাজও সফল হল। এর পরেও তোমাকে তোমার বন্ধু বা প্রিয়জনের থেকে এটা শুনতে হবে যে তোমার জানার ধরনটা ঠিক হয়নি, জানার ক্ষেত্রে তুমি অনেক প্রশ্নের উল্লেখ করতে পারোনি এইসব।
ঠিক একই ভাবে তোমার কোনো বিশেষ গুণের সমালোচনা ও অবমাননা সেইসব মানুষদের দ্বারাই হয়ে থাকে যারা ওই গুণের অধিকারী জীবনেও হতে পারবে না, এবং মজার বিষয় হল, তারা এ ব্যাপারে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল। তোমার ওই বিশেষ গুণের সামান্য বা অধিকাংশ যদি অন্য কারোর মধ্যেও থেকে থাকে, তাহলে সে তোমার খামতিগুলো তোমাকে জানিয়ে সংশোধনের পরামর্শ দেবে তোমাকে কোনোরকম অবমাননা করা ছাড়াই। এবং সেই পরামর্শ দেওয়ার কাজ ও সে জনসমক্ষে না করে বরং একান্ত গোপনে করবে যাতে কোনোরকম ভাবে তোমার সম্মানহানি না হয়। সমালোচনা বা অবমাননা করা তার চারিত্রিক বৈশিষ্টের মধ্যে পড়ে না।
আমার আবেদনঃ তোমার দ্বারা কোনো কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন হলেই তোমার খুশি হওয়া দরকার। তোমার পদ্ধতি অন্য করোর কাছে ভুল বা হাস্যকর মনে হতে পারে, কিন্তু সেটা তোমার কাছে সহজ উপায় মনে হলে তোমাকে সেই পথেই এগোনো উচিত। কোনোরকম ভুল সমালোচনায় কর্ণপাত না করে তোমার ঘাটতিগুলো নিজে উপলব্ধি করে বা সেগুলোর বিষয়ে তোমার শুভাকাঙ্ক্ষীর দ্বারা উপলব্ধ হয়ে অতিক্রম করতে হয়। মনে রাখা দরকার, “সফলতাই মূল মন্ত্র।“
