In search of Mental Peace

The major two of the various reasons behind mental trouble or dissatisfaction are mentioned below. Relief from these can bring Mental Peace. Let’s see—–

1) “Only those, who consume expensive products, should be respected to all. So if you spend less in buying all of your useful products, then you will be a cheap person or somehow will be the worthless in the society (in spite of being the claimant of all good qualities as a human)”-this type of thought can lead you in trouble mentally. Sometimes the same trouble may arise from your depression on being wrongly evaluated by some of your surrounding people with such odd mentality. If your false belief and such wrong evaluation forces you to buy luxurious products beyond your ability and you are swallowed by insolvency, then the following two may happen:

(a) Your success in buying such products will fall you in mental trouble unless and until you become solvent,

(b) Your failure in buying such products will give fuel to your false belief quoted earlier and you will only get mental trouble.

The common result of both the cases is “Mental Trouble”.

Way of peace:

(i) Make an end of all of your false believes on such useless matter,

(ii) Keep away of such people who always try to insert such odd thoughts in you. If not possible, then forget those annoying words immediate after listening.

2) “You actually don’t require those, but other consumers are enjoying and getting false respects by some wrong persons for using those, so you too have to acquire those right now, else your life will be useless and you will be worthless”—— this type of thought also gives you mental trouble and again the same people of your surrounding will make you think so if you are unaware of that. We should always remember one thing, which is, “An item should be bought at that time when you really need it”.  Although in most of the cases, people buy their fancy products as per their own fascination if capability permits.  Now, if you are not in a state of considering these two and still proceed to acquire a thing for the sake of building your false identity only, then the following two may happen:

(a) You will only get mental trouble for being debarred from some fake respects by some false people until you are able to buy that product,

(b) Your inability in acquiring the next product after buying the first one as a part of show off purpose only will fall your brain in trouble.

The common result of both the cases is “Mental Trouble”.

Way of peace:

(i) We should always remember that, “One can’t be evaluated based on his/her belongings. The main tool to evaluate a person is his internal quality.”  But as there is a huge lack of persons with such great thought in our present society, rather, a huge excess of such people does exist who always throw your mind on others’ things with the intention of ruining your mental peace, you should be more careful and should avoid such people.

(ii) You should work hard to let you buy things as per your needs.

Just think, the majority of all sorts of mental trouble in the world is based on these two events.  So man can himself find the destination of his own mental peace.

_________________________________________________________________________________________________________

মানসিক শান্তির খোঁজে

মানসিক অশান্তির বিভিন্ন কারণের মধ্যে গুরুতর দুটির উল্লেখ নীচে করলাম। এইদুটি থেকে মুক্তি পেলেই মনের শান্তি অনায়াসেই পাওয়া যায়। চলো দেখে নেওয়া যাক —-

১) “দামী জিনিস ব্যবহারকারী ব্যক্তিরই কদর সবথেকে বেশী, তাই তুমি যদি তোমার যাবতীয় ব্যবহার্য জিনিসপত্র মাঝারী বা কম দামের কিনে থাকো, তাহলে তুমি খুব সস্তা বা সমাজে তোমার কোনো মূল্যই নেই (মানুষ হিসাবে তুমি বহূ গুণের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও)”—এইরকম ভাবনা মনে পোষণ করা বা অনেক সময় তোমার চারপাশের এইরকম মনোভাবাপন্ন কারোর কাছ থেকে তোমার ভুল মূল্যায়ন হওয়ার পর হীনমন্যতায় দিন কাটানো, এই দুই-এর কারণে মানসিক অশান্তি। এইরকম ভাবার পর বা এইভাবে তোমার ভুল মূল্যায়ন হওয়ার ফলে যদি তুমি কেবল তোমার ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে তোমার সাধ্যের বাইরে গিয়ে সর্বশ্রান্ত হয়ে উচ্চমূল্যের কোনো জিনিস ক্রয়ে অগ্রসর হও, তাহলে দুটি জিনিস ঘটতে পারেঃ

(ক) ক্রয়ে সফল হলে তোমার সর্বশ্রান্ত অবস্থা থেকে কাটিয়ে উঠতে না পারলে মানসিক অশান্তি,

(খ) ক্রয়ে বিফল হলে ভুল ধারণার বশবর্তী হওয়ার ফলে মানসিক অশান্তি।

দুটি ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে ফলাফল হল “মানসিক অশান্তি”।

শান্তির পথঃ

(অ)  মনে এইরকম ধারণা থেকে থাকলে, তার আজই সমাপ্তি ঘটানো,

(আ)  তোমার মনে এইরকম ধারণা না থাকা সত্ত্বেও যদি তোমার চারপাশের কেউ এইরকম ধারণা তোমার মনে সৃষ্টি করতে সচেষ্ট থাকে, তাহলে তার সাথে দুরত্ব তৈরি করা বা তা সম্ভব না হলে তার কথা শোনার পর অবিলম্বে তা ভুলে যাওয়া।

২) “তোমার আদৌ প্রয়োজন নেই, তবুও অন্যেরা সেগুলো ব্যবহার করে মজা পাচ্ছে বা ভুল মানুষের দ্বারা কদরিত হচ্ছে বলে তোমাকেও এখনি ওইগুলো আয়ত্ত্ব করতে হবে, নাহলে জীবন বৃথা বা তুমি তুচ্ছ একজন”—এইরকম ভাবা বা অনেক সময় তুমি না ভাবলেও আবার সেই তোমার চারপাশের ব্যক্তিদের মাধ্যমে তোমার মনে এইসবের সঞ্চার মানসিক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একটা জিনিস আমাদের সবসময় মনে রাখা দরকার যে, কোনো জিনিস ক্রয় তখনই করা উচিত যখন তোমার সেটার প্রয়োজনবোধ হবে। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ প্রয়োজন ছাড়াও কেবলমাত্র শখ’এর বশবরতী হয়েও কোনো জিনিস ক্রয় করে, যদি সামর্থ্য থেকে থাকে। এখন যদি এইদুটির মধ্যে কোনোটিই তোমার বিচার্য বিষয় না হয়, আর তা স্বত্ত্বেও যদি তুমি অন্যের দেখে কোনো জিনিস ক্রয়ে বা আয়ত্ত্বে আগ্রহী হও, তাহলে দুটি জিনিস ঘটতে পারেঃ

(ক) ক্রয় না করা পর্যন্ত ভুল মানুষের দ্বারা ভূয়ো কদর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার জন্য মানসিক অশান্তি,

(খ) একটি জিনিস ক্রয় হয়ে গেলে অন্যর দেখাদেখি পরবর্তী জিনিস ক্রয় না করা পর্যন্ত মানসিক অশান্তি।

দুটি ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে ফলাফল হল “মানসিক অশান্তি”।

শান্তির পথঃ

(অ)  সবসময় মনে রাখা উচিত যে, “মানুষের মূল্যায়ন তার ব্যবহৃত পণ্যের দ্বারা করা ঠিক নয়। মানুষের অভ্যন্তরীণ গুণাগুণই তার মূল্যায়নের চাবিকাঠি হওয়া উচিত।“ কিন্তু বর্তমান সমাজব্যবস্থায় যেহেতু এইরকম ভাবনার লোকের বিপুল অভাব রয়েছে, উলটে, অন্যের ব্যবহৃত জিনিসের প্রতি তোমার দৃষ্টিনিক্ষেপ করিয়ে ও তোমাকে প্রলোভিত করিয়ে জিনিস ব্যবহার না করতে পারার জন্য তোমার মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি করে তোমার মানসিক শান্তি বিনষ্ট করার লোকের সংখ্যা প্রচুর, তাই খুব সাবধানে ওইসব লোকেদের এড়িয়ে চলা ভালো।

(আ)  তোমার প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রব্য ক্রয়ের জন্য কঠোর পরিশ্রম করা।

ভালো করে ভেবে দেখো, পৃথিবীর সমস্ত মানসিক অশান্তির একটি বড় অংশ এই দুটি জিনিসকে কেন্দ্র করেই।  তাই মানুষ নিজের মানসিক শান্তির ঠিকানা নিজেই পেতে পারে।