It’s the advertised product which gets importance

Advertisement – An important term in respect of every Business Organisation. Because, it’s an essential element of marketing which lets the buyers know about a product as well as enables them to buy it. As a result, the sale of the product is increased. And the main purpose of a business is to earn profit through maximum number of sales. The term ‘Advertisement’ is applicable to both the existing and new products. When a new product is launched to the market, advertisement is given to introduce it with the buyers. On the other hand, advertisement for an existing product is given to make it survive in the market. So, new or old, whatever the product may be, to increase its value and sale, ‘advertising’ is considered as an exigent element from business aspects. And the buyers, being attracted, buy the advertised products. But sometimes the advertisement of a product is given in such a jazzy way that it makes the buyers buy it without verifying its real quality and in that case they have to regret after buying. Some buyers also exist who are determined in using some selected products or some selected brands of a product. So, advertisement can’t work on them, because diversion of their mind from using one product to another is nowhere possible. But this type of buyers is less in number in the market; most of the buyers are attracted by advertised products. However, hereunder it is clear that the main purpose of advertisement is to increase the value of a product.

This was the use of advertisement in respect of a product which is not at all bad, rather considered as a smart technique to increase sale volumes. Now we will see how advertisement works on a human being. The matter may be funny, but it’s true. Let’s see –

Some people in our surroundings do exist who always advertise themselves to increase their worth. And they do so by showing-off. The motto of their life is, “I am this”, “I am that”, “I’ve done this”, “I’ve done that”, simply “I am the best”. They always utter a common word in their every speech which is ‘I’ ‘I’ ‘I’ ‘I’…….. They remain busy overstating each and every task performed by them in front of others. And they always try to show-off themselves in such a way that clearly reveals their intention of degrading others. This type of men with the nature of showing-off is praised by such persons who have the lack of prudence. And such praises (which are irrelevant) make them feel supreme and powerful. The regular practice of someone’s showing-off often affects him/her so extremely that after a certain time he/she starts overstating even some common daily activities like brushing, taking bath etc. and treats others in such a way that they are away from performing those. The only purpose of such a person is by any means to prove himself/herself as Supreme.

People do show-off not only to increase their worth, but sometimes to gain something also. The picture of an office is a burning example. In an office, some employees do exist who perform a task worth Rs. 2/- but while showing-off, overrate it to Rs. 200/-. They pretend that they are busy all the time and try to show-off their false involvements in work. But in real, they are nothing but remiss. Works allotted on them are accomplished by other staff but the credit goes to them only. Sometimes they put forward a work, the process of which is learnt from another staff, to the superior officer without acknowledging the help of that staff and prove themselves as skilled. And at the end of the year all kinds of benefits are conferred to them only. On the other hand, such employees, who never show-off but work silently and sincerely during the entire year for the good of the organisation without being concerned about their career, co-operate the other unskilled staff at their work, are lagged behind and in spite of being the real assets of the organisation they are debarred from all types of advantages including promotions. The matter is totally unilateral. Thus the show off nature of one staff interrupts the progress of others and makes them debarred from getting all benefits.

The existence of a person with show-off nature may also be observed in case of a family too. In each and every family there must be a member whose intention is to prove that only he/she is busy in fulfilling the duties of the family and other members remain inactive. A person with show-off nature is seen in almost every field. Sometimes the effect of showing-off becomes so acute that in some special and responsible fields of our society, the entry of wrong person(s) is happened through the wrong selection of some fools.

At the end, it may be concluded that the importance of a wrong person and a wrong product may temporarily be increased through overstating/showing-off/advertising. A real man and a right product are eligible for getting importance which is quite permanent. After a certain period when the imprudent persons find their mistakes of using the wrong products and praising the wrong persons, then they may differentiate what is right and wrong. Even if they can’t, then also there won’t be any issue, because the satisfaction level of using the good quality products and realising the own real worth is higher than the level of using wrong advertised products and showing-off which enhances the fake importance. We should remember, “All those products, which are advertised, are not always good”.

My appeal: If you are a real worthy man, then it is obvious that show-off will never evoke you. In that case you will be ignored by the imprudent, because they are busy with the advertised persons. If you realise that the number of prudent persons from your surroundings becomes NIL, then also you should not worry. Just like the existence of few buyers who are never attracted by the advertised products, rather use the good quality products, there also ‘one’, not many, does exist, who is to make all good for you considering your real worth, and the most powerful and prudent, he is our ‘Creator’. So stop advertising yourself with the hope of getting short term gains, instead proceed to increase your own virtue. You will certainly gain your real worth, not fake. And then your satisfaction level would be equivalent to that of using the products of good quality.

______________________________________________________________________________________________________

বিজ্ঞাপিত পণ্যই কেবল গুরুত্ব পায়

বিজ্ঞাপন – যে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটা শব্দ। কারণ, এটা পণ্যের বাজারকরণ-এর একটা অত্যাবশকীয় উপাদান যা ক্রেতাকে পণ্য সম্পর্কে অবগত করায় ও পণ্য ক্রয়ে সাহায্য করে। ফলে পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি পায়। আর ব্যবসার মূল উদ্দেশ্যই হল বিক্রয় বৃদ্ধির মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করা। এই ‘বিজ্ঞাপন’ বিষয়টা চলতি এবং নতুন – উভয় ধরণের পণ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কোনো নতুন পণ্য বাজারে এলে ক্রেতাকে তার সঙ্গে পরিচয় করানোর জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, আবার ইতিমধ্যে বাজারে এসে গেছে এমন কোনো পণ্যকে বাজারে টিকিয়ে রাখার জন্যও বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়ে থাকে। তাই পণ্য নতুন হোক বা পুরনো, ক্রেতার কাছে তার গুরুত্ব ও বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য ‘বিজ্ঞাপন’কে ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে একটা জরুরী উপাদান হিসেবে ধরা হয়। আর ক্রেতা বিজ্ঞাপিত পণ্যের উপর আকৃষ্ট হয়ে ক্রয় করে থাকে। তবে অনেকসময় কোনো দ্রব্যের বিজ্ঞাপন এত আড়ম্বরপূর্ণভাবে দেওয়া হয় যে ক্রেতা দ্রব্যের গুণাগুণ বিচার না করেই ক্রয় করে ফেলে ও ক্রয়ের পর আফসোস করতে থাকে। আবার এমন কিছু ক্রেতা থাকে যারা নির্দিষ্ট কিছু দ্রব্য বা নির্দিষ্ট কিছু ব্র্যান্ডের দ্রব্য ব্যবহারেই সীমাবদ্ধ থাকে। তাই তাদের কাছে অন্য কোনো দ্রব্য বা নতুন কোনো দ্রব্যের বিজ্ঞাপন বিচার্য বিষয় নয়, কারণ এক দ্রব্য থেকে অন্য দ্রব্য ব্যবহারে তাদের মনের পরিবর্তন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবে বাজারে এই ধরণের ক্রেতার সংখ্যা কম, বিজ্ঞাপিত পণ্যে আকৃষ্ট হওয়া ক্রেতার সংখ্যাই বেশী। যাই হোক, এই পর্যন্ত এটা জানা গেলো যে বিজ্ঞাপনের মূল উদ্দেশ্যই হল পণ্যের গুরুত্ব বৃদ্ধি করা।

এই তো গেল পণ্যের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন, যাকে খারাপ তো নয়ই, উল্টে বিক্রয় বৃদ্ধির একটা সুন্দর কৌশল হিসেবে ধরা হয়। এবারে আমরা দেখবো মানুষের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন বিষয়টা কিভাবে কাজ করে। ব্যাপারটা হাস্যকর হলেও বাস্তব। চলো দেখে নেওয়া যাক —

আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ থাকে যারা গুরুত্ব বৃদ্ধির জন্য ক্রমাগত নিজেদের বিজ্ঞাপন দিতে থাকে। এই কাজ তারা জাহির করার মাধ্যমে করে থাকে। তাদের জীবনের মূল মন্ত্রই হল, “আমি ওমুক”, “আমি তমুক”, “আমি এই করেছি”, “আমি ওই করেছি”, অর্থাৎ “আমিই সেরা”। সারাক্ষণ তারা শুধু “আমি আমি আমি আমি…………” করতে থাকে। কোনো কাজ করলেই তারা সেটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে লোকের সামনে পেশ করতে ব্যস্ত থাকে। আর তারা সমসময় নিজেকে জাহির করার মাধ্যমে অন্যকে ছোট করার চেষ্টায় থাকে। লোকের সামনে নিজেকে দেখানো বা লোক-দেখানো স্বভাবের এই সমস্ত মানুষরা এমন কিছু মানুষের কাছে গুরুত্ব পায় বা তাদের দ্বারা প্রশংসিত হয় যাদের বিচক্ষণতার অভাব আছে। আর ওই সমস্ত মানুষদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়ে (যা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক) জাহির করা মানুষগুলো নিজেদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও শক্তিশালী মনে করে। দিনের পর দিন জাহির করতে করতে তারা এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে তাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপ যেমন দাঁত মাজা, স্নান করা – এগুলোকেও ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বলতে শুরু করে, আর এমন ইঙ্গিত দেয় যে তারাই কেবল এইসব কাজ করে, আর অন্যেরা এগুলো থেকে বিরত থাকে। এদের উদ্দেশ্য শুধু লোকের সামনে যেন তেন প্রকারেণ নিজের গুরুত্ব বৃদ্ধি করা ও নিজেকে সর্বেসর্বা প্রমাণ করা।

জাহির করা মানুষেরা যে শুধুমাত্র নিজের গুরুত্ব বৃদ্ধিতেই সীমাবদ্ধ থাকে, তা নয়। এরা কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেদের কাজ গোছানোর উদ্দেশ্যে বা লাভের আশায়ও নিজেকে জাহির করে থাকে। এর বাস্তবিক প্রয়োগ দেখা যায় যেকোনো অফিসের ক্ষেত্রে। একটা অফিসের কিছু কিছু কর্মচারীর স্বভাবই হল ২ টাকার কাজ করে ২০০ টাকার লোক দেখানো। এরা সবসময় ভুয়ো ব্যস্ততা দেখানোর মাধ্যমে এটা প্রমাণ করতে চায় যে তারা সারাক্ষণ কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এরা ফাঁকিবাজ ছাড়া আর কিছুই নয়। এরা নিজেদের উপর অর্পিত কোনো কাজ অন্যকে দিয়ে করিয়ে নাম কেনার চেষ্টা করে। কখনো কখনো এরা অন্যের থেকে কাজ শিখে ভবিষ্যতে সেই ব্যক্তিকেই অগ্রাহ্য করে উর্ধস্থন কর্মচারীর কাছে প্রদর্শন করার মাধ্যমে নিজেকে একজন দক্ষ কর্মচারী হিসেবে প্রমাণ করে থাকে। আর বছরের শেষে সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা কেবল এরাই পেয়ে থাকে। অপরদিকে যে সমস্ত কর্মচারীরা সারা বছর লোক দেখানো কাজ না করে, নিজের পেশাগত উন্নতির কথা না ভেবে চুপচাপ প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে কাজ করে যায়, জাহির করা অদক্ষ কর্মচারীদের নীরবে কাজ শিখিয়ে যায়, তারা অফিসের মূল সম্পদ হওয়া স্বত্ত্বেও পিছনে থেকে যায় আর পদোন্নতি সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। বিষয়টা পুরোপুরি একতরফা। এইভাবে একজনের জাহির করার প্রবণতা অন্য কর্মচারীর পেশাগত অগ্রগতি স্থগিত করার সাথে সাথে তাকে তার প্রাপ্য থেকেও বঞ্চিত করে।

একটা পরিবারের মধ্যেও এই ধরণের জাহির করা মানুষদের দেখা যায়। যেকোনো পরিবারে এমন একজন সদস্য অবশ্যই থাকবে যে সবসময় জাহির করার মাধ্যমে এটা প্রমাণ করতে চায় যে, শুধুমাত্র সে একাই পরিবারের দায়-দায়িত্ব পালন করছে, আর অন্য সদস্যরা অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। জাহির করা মানুষদের অস্তিত্ব প্রায় সর্বক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায়। কখনো কখনো লোক দেখানো বিষয়টার ফলাফল এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে সমাজের বিশেষ এবং দায়িত্বপূর্ণ কোনো ক্ষেত্রে নির্বোধের দ্বারা বাছাই করার মাধ্যমে অনেকসময় ভুল ব্যক্তির প্রবেশ ঘটে যায়।

সবশেষে আমরা এটা বলতে পারি যে, জাহির করে/লোক দেখিয়ে/বিজ্ঞাপন দিয়ে ভুল মানুষ এবং পণ্যের গুরুত্ব সাময়িকভাবে বৃদ্ধি করা যায়। প্রকৃত গুণাগুণ সম্পন্ন ব্যক্তি এবং পণ্যের গুরুত্ব স্থায়ী হয়। একটা সময় পর অবিচক্ষণ মানুষরা ভুল পণ্য ব্যবহার করতে করতে আর ভুল মানুষকে গুরুত্ব দিতে দিতে যখন নিজেরা ঠকবে, তখন ঠিক-ভুলের তফাতটা হয়তো বুঝলেও বুঝতে পারে। আর না বুঝলেও কোনো সমস্যা নেই, কারণ সঠিক গুণাগুণের পণ্য ব্যবহার করে এবং নিজের গুরুত্ব নিজে উপলব্ধি করে যে সন্তুষ্টি আসে, তা বিজ্ঞাপিত ভুল পণ্য ব্যবহার করে এবং নিজেকে জাহির করে ভুয়ো গুরুত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে আসে না। একটা কথা মনে রাখা দরকার, “সব বিজ্ঞাপিত পণ্যই সর্বক্ষেত্রে ভালো নয়”।

আমার আবেদন: যদি তুমি একজন প্রকৃত গুণী ব্যক্তি হয়ে থাকো, তাহলে লোক দেখানো বা জাহির করা ব্যাপারটা তোমার মধ্যে কখনোই আসবে না। সেক্ষেত্রে অবিচক্ষণরা কখনোই তোমাকে গুরুত্ব দেবে না, কারণ তারা যে লোক দেখানো স্বভাবের ব্যক্তিদের নিয়েই ব্যস্ত। যদি দেখো যে তোমার চারপাশ থেকে বিচক্ষণ মানুষের সংখ্যা কমতে কমতে একেবারে শূণ্য হয়ে গেছে, তাহলেও চিন্তা করো না। ঠিক যেমন বিজ্ঞাপিত পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে সঠিক গুণমানের পণ্য ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হলেও তার অস্তিত্ব আছে, তেমনি তোমার গুরুত্ব বুঝে তোমার মঙ্গল সাধন করার জন্য একাধিক নয়, কেবল একজনই আছেন যিনি সর্বশক্তিমান এবং বিচক্ষণ, তিনি হলেন আমাদের ‘সৃষ্টিকর্তা’। তাই সাময়িক লাভের আশায় নিজের বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করে নিজের গুণগত মান বৃদ্ধিতে অগ্রসর হও। দেখবে ভুয়ো নয়, একজন প্রকৃত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে উঠবে। আর তখন সঠিক গুণমানের পণ্য ব্যবহার করার মতোই পরিতৃপ্ত হবে।